নতুন বছরে সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরাইল উপজেলার শিক্ষা সেক্টরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে শুদ্ধি অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা। তিনি বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠা কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর নানা বিষয় খতিয়ে দেখার ব্যাপারে এ কঠোর বার্তা দেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মোসা এ ঘোষণা দেন। উপজেলা প্রশাসনপাড়ায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা, সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) মোঃ নুরুল হক প্রমুখ।
ইউএনও তাঁর বক্তব্যে বলেন, উপজেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা সেক্টরে অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ'কে উদ্দেশ্য করে ইউএনও বলেন, "আপনি উপজেলার সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ধরনের কোন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নিন।
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা সভায় উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন কয়েকজন সদস্য। কমিটির সদস্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বতর্মানে উপজেলার চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে নাজুক পরিস্থিতি। শিক্ষক এসএসসি পাস, কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে লেখা "স্কুল এন্ড কলেজ"। মাত্র তিন জন শিক্ষক, এরমধ্যে জিজ্ঞেস করেন ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল কে?
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুইদিন আগে একাধিক মিডিয়ায় সরাইলে শিক্ষা ব্যবস্থা এখন সিন্ডিকেটের দখলে। শিক্ষা নিয়ে চলছে বাণিজ্য অথচ দেখার কেউ নেই। এমন তথ্যে রিপোর্ট হলে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।