ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৪৯ এর উপবিধি (১) অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচের হিসাব ও পরিশোধের বর্ণনা সংবলিত বিবরণী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দিতে হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের ‘ব্যক্তিগত খরচ’ ও ‘নির্বাচনী খরচ’ মিলে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা খরচ করার বিধান ছিল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন এবং দক্ষিণে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন ভোটার ছিল।
নির্বাচনী ব্যয় সীমার বিধি অনুযায়ী, ২০ লাখ ১ ও এর বেশি ভোটার সংবলিত সিটিতে একজন মেয়র প্রার্থী সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ‘ব্যক্তিগত খরচ’ করার কথা। একই পরিমাণ ভোটার থাকলে ‘নির্বাচনী খরচ’ করার বিধান সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।
দুই সিটিতে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সলর পদে ৭৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ‘ব্যক্তিগত ব্যয়ের’ ক্ষেত্রে অনধিক ১৬ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১০ হাজার, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২০ হাজার, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং ৫০ হাজার ১ ও তার বেশি ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারার কথা।
আর ‘নির্বাচনী ব্যয়ের’ ক্ষেত্রে অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ লাখ, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২ লাখ, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪ লাখ এবং ৫০ হাজার ১ ও তার বেশি ভোটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ব্যয় করার বিধান আছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।