গলায় ঝুলানো ছিল পরিচয়পত্র। তবুও লকডাউনের অযুহাতে সাংবাদিককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ। একইভাবে সাংবাদিকের স্বাস্থ্যকর্মী ভাইকেও পেটানো হয়েছে। অথচ লকডাউন বিধিনিষেধের আওতায় নেই দুজনের কেউ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার কুয়াইশ কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সড়কের উপর তাদের দুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন হাটহাজারী থানার কনেস্টেবল জাহাঙ্গীর।আহতরা হলেন দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন রকি ও তার ছোট ভাই নগরীর এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সাইফুদ্দিন।
নাসির উদ্দিন রকি বলেন, ছোট ভাই ও আমি মোটরসাইকেলে করে রাউজানের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছিলাম। দুজনের গলায় আইডি কার্ড ঝুলানো ছিল। কিন্তু কুয়াইশ এলাকায় পৌঁছালে হাটহাজারী থানার কনস্টেবল জাহাঙ্গীর অতর্কিতভাবে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।নাসির উদ্দীন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি সংবাদপত্র ছুটির আওতামুক্ত থাকার বিষয়টি জানানোর পরও কনস্টেবল জাহাঙ্গীর লাঠিচার্জ করতে থাকেন।বিষয়টি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও হাটহাজারী থানার ওসিকে জানিয়েছেন রকি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাটহাজারী থানার ওসি মাসুদ আলম বলেন, উনি যে সাংবাদিক সেটা চিনতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে চলমান সাধারণ ছুটি সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের জন্য প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি প্রতিষ্ঠান চলবে। এমন আদেশ জারি করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।এছাড়া ৫ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যে ছুটি দেয়া হয়েছে তাতে জরুরি সেবাসহ সংবাদপত্র এর আওতামুক্ত থাকবে। এরপরও দায়িত্বরত সাংবাদিককে পুলিশের পেটানোর ঘটনায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/ জি.হা
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।