গাছের চারা উঠানোয় অন্তসত্বা নারীকে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৬ অপরাহ্ন
গাছের চারা উঠানোয় অন্তসত্বা নারীকে নির্যাতন

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের খতেজাবাগ ৫নং ওয়ার্ডে গাছের চারা উঠানোকে কেন্দ্র করে গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এসময় অন্তত ৬জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন, ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাহিমা বেগম(২৫) (অন্তঃসত্ত্বা), তার স্বামী মো.জাকির (৩২) আসমা (২০) বেল্লাল(২২), জাহিদ (১০)  ও স্বপ্না(১৮) (বাক প্রতিবন্ধী)। এবিষয়ে মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির সীমানায় আমাদের রোপনকৃত কিছু ফলদ গাছের চারা ছিলো। 

গত কয়েকমাস পূর্বে ওই সীমানার জমি নিয়ে আমাদের সাথে একই বাড়ির নুর ইসলাম গংদের সাথে বিরোধ থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের  মাধ্যমে উক্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ ফয়সালা করে দেন। এবং ওই জমির সীমানায় আমার রোপন কৃত গাছের চারা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। 

গতকাল (২৭এপ্রিল) দুপুরে  আমি সালিশি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমার গাছের চারা ও কিছু মাঝারি গাছ উঠিয়ে অন্যত্র সরানোর জন্য গেলে হাফেজ সর্দার এবং তার ছেলে নুর ইসলাম, মিজানসহ তার স্বজনরা মিলে জোর পূর্বক বাধা দিয়ে আমাকে, আমার স্ত্রী,বোনসহ আমার পরিবারের লোকজনকে এলোপাথারি দা, লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে আমার স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে দেয় এবং আমার বোন আসমার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে পরিবারের লোকজনদের রক্তাক্ত ও জখম করে।

অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী বলেন, আমার স্বামী চারা গাছ উঠাতে গেলে প্রতিপক্ষ নুর ইসলাম ও তার ভাই এসে মারধর করে আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।

এ অভিযোগে নুর ইসলাম বলেন, তারা গাছের চারা উঠাতে গেলে আমি তাদেরকে বাধা দেই তবে গাছের চারা বাবদ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দিলে তারা এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এক পর্যায়ে তাদের সাথে  হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন জানান, আসলামপুরে মারামারির ঘটনায় দুই গ্রুপ থানায় অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব