চরফ্যাশনে বায়না চুক্তি করে জমি নিয়ে প্রতারণা !

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৫ই মে ২০২০ ০৯:১৪ অপরাহ্ন
চরফ্যাশনে বায়না চুক্তি করে জমি নিয়ে প্রতারণা !

চরফ্যাশন  (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নে জমি বায়না চুক্তির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। 

মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর-আফজাল ২নং ওয়ার্ডে ২লাখ টাকা মূল্যে ৩০ শতাংশ জমি ৫০হাজার টাকায় বায়না চুক্তি করে বাকি দেড় লাখ টাকা পরিশোধ না করে দীর্ঘ চার বছর যাবত নানানভাবে হয়রানি করছেন আব্দুর রহমানের ছেলে লুৎফর রহমান। এমন অভিযোগ করেন জমি মালিক আবু বকর গং। 

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলের ২৮ তারিখ চর-আফজাল মৌজার এস,এ খতিয়ানের ১৪৮৫,৮৬,৮৭,৮৮,৮৯ ও দিয়ারা খতিয়ানের ৫৭৪৪,৪৫,৫০, এবং ৯২ দাগে মোট ৩০ শতাংশ জমি লুৎফর রহমান আমাদের সকল ওয়ারিশ গণদের উপস্থিতিতে ২লাখ টাকা মূল্যে ৫০ হাজার টাকা বায়না দিয়ে স্ট্যাম্পে স্মাক্ষর নেয়। এবং বাকি দেড় লাখ টাকা ৩ মাসের মধ্যে ঢাকায় এসে পরিশোধ করার কথা থাকলেও সে দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ ওই টাকা পরিশোধ না করে দেই দিচ্ছি বলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা ও হয়রানি করে আসছে। এছাড়াও সে ভুয়া কাগজপত্র এবং চুক্তিনামা করে আমাদেরকে ১লাখ টাকা দিয়েছে বলে আমাদের স্বজনদের কাছে দাবি করছে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের জানিয়েছি। 

জমি মালিক মো. আবু বকরের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক জসিম এ প্রতিবেদককে মুঠো ফোনে জানান, আমাদের ওয়ারিশগণদের কাছ থেকে লুৎফর রহমান ৫০হাজার টাকা বায়না দিয়ে সু-কৌশলে ওই বায়নাপত্রে ১লাখ টাকা উল্লেখ করে,তবে তাৎক্ষনিক বিষয়টি ধরা পড়লে সে ক্ষমা চেয়ে বাকি টাকা ব্যবসা বানিজ্য করে দ্রুত পরিশোধ করার অঙ্গিকার করে। 

কিন্তু বায়না চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও লুৎফর রহমান আমাদের ওই ফসলি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক স্থানীয় গুটিকয়েক কুচক্রিমহলের নির্দেশে ড্রেজার ব্যবসায়িদের কাছে লাখ,লাখ টাকার মাটি বিক্রি করে জমিটি গভীর দীঘিতে পরিনত করে ভোগদখল করছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হককে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেন এবং ড্রেজারের মাটি কাটা বন্ধ করে দিলেও পরবর্তিতে চেয়ারম্যানের নির্দেশকে উপেক্ষা করে তারা মাটি কাটে।

এ অভিযোগের বিষয়ে লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বায়না চুক্তির সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও বাকি দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করে দিবেন বলে জানান। 

তবে প্রতারণার কথা অস্বীকার করে লুৎফর রহমান বলেন, আমি আবু বকর গংদের কাছ থেকে ওই জমিটি ২লাখ টাকা মূল্যে ক্রয় করি এবং এক লাখ টাকা বায়না করি। তাদের সকল ওয়ারিশগণ উপস্থিত না হওয়ায় আমি টাকা দিতে পারছিনা। তারা এসে আমাকে দলিল দিলেই আমি তাদের দাবিকৃত ওই বাকি টাকা দিতে রাজি আছি।