বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ না থাকলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ২১ আগস্টের হামলায় বিএনপির জড়িত থাকার প্রমাণ সে সময়েই তাদের বক্তব্যে পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।শুক্রবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় সেদিনই ঘটনাস্থলে নিহত হন ১৬ জন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান। প্রায় দেড় বছর পর মৃত্যু হয় ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের। সবমিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে।
সেদিনের আকস্মিক হামলার মুখে প্রাণ তুচ্ছ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তৈরি করা মানবঢালে অল্পের জন্য বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ওই হামলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জাতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ শুক্রবার।বর্বরোচিত ওই হামলার দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট হামলায় বিএনপির জড়িত থাকার প্রমাণ সে সময়েই তাদের বক্তব্যে পাওয়া গেছে। তারা জড়িত বলেই আলামতগুলো নষ্ট করে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সেদিন যে অবস্থা থেকে বেঁচে এসেছি তা খুবই কষ্টকর। এমনি সময় এই ধরনের হামলা হলে সবাই ছুটে আসতো সেবা দিতে। আমরা কোনো সেবা পাইনি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলও তখন বন্ধ, কেউ সেবা নিতে পারেনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার উপর ছোঁড়া গ্রেনেডের দুটি অবিস্ফোরিত ছিলো। পরে সেগুলো আলামত হিসেবেও সংগ্রহ করা হয়নি। এমনকি হামলার পরপরই ওই জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় আলামত নষ্ট করতে। কর্মীরা মানবঢাল বানিয়ে আমাকে না বাঁচালে আমি বাঁচতাম না। ২১ আগস্টের সঙ্গে যদি বিএনপি জড়িত নাই থাকবে তাহলে তারা হামলার আলামত কেন নষ্ট করলো।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে বহু নেতাকর্মী আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মাঠে নেমেছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি তারাও অনেক দায়িত্ব পালন করেছে। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক দল এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। এখনও আমি সবাইকে অনুরোধ করবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও সচেতন থাকবেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছিলাম আবার করোনার জন্য সব স্থবির হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সীমিত পরিস্থিতিতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই এই দুর্যোগ থেকে আমরা শিগগিরই রেহাই পাবো।শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির যে বিষবৃক্ষ বিএনপি রোপন করে গেছে তার ফল দেশ আজও ভোগ করছে। দুর্নীতির এই বিষবৃক্ষ আওয়ামী লীগ মূলোৎপাটন করছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।