প্রতারণার শিকার ২০ আওয়ামীলীগ নেতা, থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: রবিবার ৫ই মার্চ ২০২৩ ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
প্রতারণার শিকার ২০ আওয়ামীলীগ নেতা, থানায় অভিযোগ

কুমিল্লার দেবীদ্বারে বিশ আওয়ামী লীগ নেতা ত্রাণ পাওয়ার আশায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ওই বিশ নেতার কাছ থেকে বিকাশ ও নগদে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা জানান। ওই ঘটনায় রোববার বিকেলে উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে অজ্ঞাত প্রতারক চক্র ও তাদের ব্যবহৃত তিনটি ফোন নম্বর উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।


পুলিশ, দলীয় নেতাকর্মী জানান, সুবিল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকারের কাছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের একজন কর্মকর্তা দাবি করে ফোন দেন। সেখানে ওই সভাপতির কাছে কয়েকশ দরিদ্র মানুষকে নগদে ৪ হাজার ২০০ টাকা, ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি সয়াবিন ও একটি কম্বল দেওয়ার কথা বলা হয়। যা দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ নেওয়ার অনুরোধ করেন এ সভাপতির কাছে।


প্রতারিত ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল জানান, এনএসআইয়ের এক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দরিদ্র মানুষকে নগদ টাকা, চাল, ডাল, তেল ও কম্বল দেওয়ার কথা বলেন। প্রথমে মানুষের নামের তালিকা ফোনে চান। এরপর তাদের ফরম ও অফিস খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা করে দাবি করেন। আমি ২১ জনের জন্য ৫ হাজার টাকা বিকাশে দেই।


তিনি আরো জানান, ৫০ কার্ডের জন্য ২২ হাজার ৫শত টাকা অগ্রীম জমা দিতে হবে। ৫০ কার্ডের বিপরীতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগন ১০টি কার্ডের টাকা ও মালামাল ফ্রি পাবেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কার্ডও নিতে পারেন। ওই লোভনীয় প্রস্তাবে প্রতিটি ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অনেকেই তাদের দেয়া বিকাশ ও নগদ নম্বরে গত বুধবারে (১ফেব্রুয়ারী) ৫ হাজার, ১৫ হাজার, ২১ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। শুধুমাত্র আমি ৫ হাজার টাকা পাঠাই, পরবর্তীতে বাকী টাকা পরিশোধের শর্তে।


জানাযায়, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম(৬৫) প্রতারকদের কথায় বিশ্বাস করে ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠায়। একইভাবে ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মো. আবু কাউছার সরকার(৫০) তিনিও ২১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বলে জানান। তাদের সাথে মাসুদ নামে আরেক যুবলীগ নেতাও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। কিন্তু টাকা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।


দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর জানান, প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।