প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০:১০
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। সম্প্রতি একটি টক শো-তে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির নিশানা হয়ে পড়েছেন তিনি। রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ ও আহতদের অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ফজলুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
উল্লেখ্য, আগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে। শোকজে তাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার বক্তব্য দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। এমনকি তার বক্তব্য জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দেয় এবং জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশোর অধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ভূমিকা অসামান্য হলেও ফজলুর রহমানের মন্তব্যে তা বারংবার অপমানিত হচ্ছে।
শোকজে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা দাহের মাধ্যমে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, গণঅভ্যুত্থান ও শহীদদের সম্মান রক্ষা করা তাদের জন্য অগ্রাধিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রতিবাদে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফজলুর রহমানের বক্তব্য দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও জনমতের সঙ্গে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে ছাত্র-জনতা এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শোকজ প্রক্রিয়া একটি নিয়মিত সাংগঠনিক ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নেতৃবৃন্দের দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করা হয়। ফজলুর রহমানের লেখা জবাবের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।