শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে। ফলে নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
সরজমিনে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল ষ্কুল এন্ড কলেজ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। এদিকে ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা যায়। তবে চলমান রয়েছে যাত্রীবাহী যানবাহন।
এদিকে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হলেও ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা। ট্রাকগুলোকে ফেরির নাগাল পেতে সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। খোলা আকাশের নিচে টয়লেট, গোসল ও খাবার সমস্যার পাশাপাশি মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা-পয়সা ও মোবাইল চুরির শঙ্কায় রাত জেগে থাকতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া হঠাৎ করেই ট্রাক ছাড়তে হয়, যে কারণেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না তারা।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের চার থেকে প্রায় পাঁচ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকই পণ্যবাহী ট্রাক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের বাড়তি যানবাহনের চাপ। ফলে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল লক্ষ্য করা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার চলমান রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট বন্ধ থাকায় সড়কে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে আছে, যার চাপও দ্রুত কমে যাবে।বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যারমধ্যে ৮টি রো রো, ৬টি ইউটিলিটি ও ২টি কে টাইপ ফেরি চলাচল করছে। মূলত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ায় সিরিয়াল হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।