বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপরে আজমিরীগঞ্জে নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমিনুল ইসলাম আপন
প্রকাশিত: শনিবার ১৮ই জুন ২০২২ ০৯:০৭ অপরাহ্ন
বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপরে আজমিরীগঞ্জে নদীর পানি

হবিগঞ্জের  আজমিরীগঞ্জে ১০ ঘন্টার টানাবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বছিরা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এতে করে আজমিরীগঞ্জ থেকে কাকাইলছেও ও বদলগামী রাস্তার একাংশ তলিয়ে গেছে। মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহণ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

 

জানা যায়, ১০ ঘন্টার টানাবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আজমিরীগঞ্জের কুশিয়ারার কালনী, ভেড়ামোহনা ও বছিরা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে কাকাইলছেও - আজমিরীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ - বদলপুর রাস্তার একাংশ তলিয়ে গেছে। ঢালাইকৃত রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সংলগ্ন হাওরে প্রবেশ করছে পানি। এ ছাড়া উপজেলার পৌরসভা সহ ৫ ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা নদীর পানি উপচে তীরের ফসলিজমির মাঠ তলিয়ে গেছে। 


এ ছাড়া নেমে আসা পানি কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ দিক থেকে  স্রোতের প্রতিকূলে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে পানিকে ফাঁপিফে তুলছে। আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও সমীপুর গ্রামের অদূরে সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার থেকে আজমিরীগঞ্জ বাজার থেকে কাকাইলছেও ও বদলপুরগামী যাত্রীবাহী টমটম রিক্সা ও মালবাহী যানবাহণ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 


নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নালা,খাল ও কার্লভার্ট এর নীচ ও তলিয়ে যাওয়া রাস্তার উপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী হাওরে প্রবেশ করছে পানি। ইতিমধ্যে উপজেলার বদলপুর, জলসুখা, শিবপাশা ও কাকাইলছেও হাওরের নীচু এলাকা সমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে প্রবল স্রোতে কাকাইলছেওয়য়ের বদরপুর, মনিপুর ও সৌলরী গ্রাম প্রবল নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ার শংকায় রয়েছে ওই এলাকার অধিবাসীরা। অপরদিকে  বদলপুর ইউনিয়নের বদলপুর ও পিরোজপুর গ্রামের মধ্যবর্তী ফসলিজমির মাঠও একইভাবে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশংখা রয়েছে।


এদিকে আজমিরীগঞ্জের ভাটিতে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিটামইন ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হাওরগুলো ইতিমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে অতিবর্ষন ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি অব্যাহত থাকলে উপজেলা নীচু এলাকার গ্রাম সমূহের বাড়িঘরে পানি উঠার আশংখা করছে এলাকাবাসী।