ঘরের জন্য আকুতি ‘অন্ধ’ তুষা মিয়ার !

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে জুলাই ২০২২ ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
ঘরের জন্য আকুতি ‘অন্ধ’ তুষা মিয়ার !

অকাল বন্যায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে টাঙ্গুয়ারর হাওর তীরবর্তী অন্ধ তুষা মিয়ার মাথা গোঁজার ঘরটি ! চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তুষা মিয়া এখন প্রায় নিস্বহয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ‘তুষা মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার (উত্তর) শ্রীপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।’ তুষা মিয়ার বয়স (৪১) তার সংসারে আছে এক স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে, ছেলে জিহাদ মিয়াও প্রতিবন্ধী। তুষা মিয়ার একটি ছোট-খাটো দোকান ছিলো এটি দিয়েই টানাহেছরা করে কোনরকম ভাবে চলত তার পরিবার তবে সেটিও অকাল বন্যায় ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার’ কাছে একটি ঘরের আকুতি জানিয়েছেন অন্ধ তুষা মিয়া।


তুষা মিয়া জানান, আমার একমাত্র থাকার ঘরটি বন্যায় ভেঙে গেছে তার সাথে আমার দোকানের মালামালও বন্যায় ভেসে গেছে আমি এখন নিস্ব হয়ে গেছি। ‘শুনেছি সরকারি ঘর অনেকেই পাইছেন আমার কপালে তা জুটেনি।’ আমি অন্ধ মানুষ কাউকে চিনিও না আর কারে কইমু। গ্রাম থেকে লিস্ট নিছে অনেকেই তবুও পাইনি সবি আমার কপাল।’


তুষা মিয়ার স্ত্রী আলেমা বেগম প্রতিবেদকে বলেন, আমার স্বামী অন্ধ মানুষ, আমাদের আয়-রেজগার করার কেউ নাই একমাত্র আমার স্বামীই আমাদের বেঁচে থাকার ভরসা। একটা ছোট দোকান ছিলো বন্যায় পানিতে ঘর সহ সকল মালামাল ভেসে গেছে। এই দোকান দিয়ে কোনভাবে সংসার চলতো আমাদের, এখন তাও শেষ হয়েগেছে। এখন ভাত খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে ঘর কিভাবে বানমু।’ 


উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলী হায়দার তুষা মিয়া বিষয়ে বলেন, সারা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লিস্ট নেয়া হয়েছিলো, এর সাথে তুষা মিয়ার নামটি ছিলো কিন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট যাচাই-বাচাই করার সময় ভুল বসত লিস্ট থেকে তুষা মিয়ার নামটি কেটে গেছিলো এই বিষয়টি নিয়ে আমি (ইউএনও) স্যারের সাথে আলাপ করেছি, আমি আপ্রান চেষ্ঠা করবো তুষা মিয়ার ঘরটির জন্য।’


তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা’ বলেছেন আমাদের দেশে কেও গৃহহীন থাকবে না। তিনি আরো বলেন- প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না দ্রুততার সাথে তুষা মিয়ার বিষয়টি সমাধান করা হবে।  


উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির প্রতিবেদকে  বলেন, আমি তুষা মিয়ার বিষয়টি শুনে মর্মাহত হয়েছি। এ বছর তাহিরপুর উপজেলায় অকাল বন্যায় অনেকেই ঘরবাড়ি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে তুষা মিয়ার বিষয়টি আমার কাছে একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে। আমি খুব দ্রতভাবে তুষা মিয়াকে সরকারিভাবে সহায়তা করার জন্য চেষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ্।’