বদলগাছী থানার পুলিশ কর্তৃক মাদকসেবী শহিদুল ইসলাম লকায়কে সিএনজি চালিত অটো রিক্সাসহ আটক করার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৬ মার্চ, বুধবার মালঞ্চা গ্রাম থেকে মাদকসেবী শহিদুল ইসলাম লকায় (৪০) আটক হন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাগরপুর মোড়ে মাদকসেবী শহিদুল ইসলাম লকায় তার সিএনজি চালিত অটো রিক্সা থেকে ৩জন যাত্রীকে দ্রুত নামিয়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় বদলগাছী থানার এএসআই মতিউর রহমান ও এএসআই মেহেদী হাসান তাকে থামার জন্য সংকেত দিলেও শহিদুল গাড়ি থামাতে না পেরে দ্রুত গতিতে পালাতে শুরু করেন। পুলিশ তাকে ধাওয়া করে এবং কয়েক কিলোমিটার পর শহিদুলকে তার বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে আটক করে। এরপর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম তার সিএনজি চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত। তার গাড়িতে মাদক আনা-নেওয়া হত, যার কারণে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। শহিদুলের নামে মাদক সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তবে আটক করার পর রাতে তাকে কোন মামলা না দিয়ে সিএনজি সহ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে স্থানীয়দের কাছে।
স্থানীয় সেলুন ব্যবসায়ী রকি হোসেন বলেন, "সাগরপুর মোড়ে পুলিশের সংকেত দেয়ার পর শহিদুল পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে বাড়ির সামনে আটক করে নিয়ে যায়, কিন্তু রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়, এটার কোনো কারণ বুঝলাম না।" অন্যদিকে, সানোয়ার হোসেন ও জামিনুর ইসলাম সহ স্থানীয়রা জানান, শহিদুলের সিএনজি চালানোর পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে তাকে আটক করা হয়েছিল। তবে আটকের পর তাকে ছেড়ে দিতে বেশ বড় অংকের টাকা খরচ হয়েছে বলে তারা জানান, যদিও টাকার পরিমাণ তারা বলতে চাননি।
শহিদুল ইসলাম লকায় দাবি করেন, "এটা কিছুই ছিল না, পুলিশের সন্দেহের কারণে আমাকে আটক করেছিল এবং পরে ছেড়ে দিয়েছে।" তার স্ত্রী শাপলা আকতার জানান, "আমার স্বামীর কপাল ভালো, তাই মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছে। তবে পুলিশ তাকে আটক করার পর অনেক হয়রানি হয়েছে, টাকাও খরচ হয়েছে, কিন্তু কতটা তা আমি জানি না।"
এ ব্যাপারে বদলগাছী থানার এসআই মতিউর রহমান কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, "এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, আপনি যা জানতে চান ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।" বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহজাহান আলী জানান, "মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে আটক বা ছেড়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা জানা নেই। সেদিন আমি বগুড়াতে ছিলাম, মাদক ব্যবসায়ী বা সেবীকে আটক করলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আদালতে পাঠানো হয়।"
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।