মাদক ব্যবসার পাওনা পরিশোধে গরু চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ১৫ই আগস্ট ২০২২ ০৫:০১ অপরাহ্ন
মাদক ব্যবসার পাওনা পরিশোধে গরু চুরি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক মাদক ব্যবসায়ীর পাওনা টাকা পরিশোধ করতে দিনদুপুরে গরু চুরি করে জনতার হাতে আটক হয়েছে অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী। গরু চুরির অভিযোগে আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী হলেন ফারুক মিয়া ও রতন মিয়া। রোববার রাতে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সোমবার তাদেরকে কারাগারে পাঠায়।


উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুররুটি বাজার পাড়ায় এঘটনা ঘটে। গরু চুরির অভিযোগে আটক ফারুক বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি বাজার পাড়ার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এবং রতন একই এলাকার মানিক উদ্দিনের ছেলে।


স্থানীয়রা জানায়, ফারুক ও রতন দীর্ঘদিন যাবত ভূরুঙ্গামারীর ভোটেরহাটের আবুল কালামের মাধ্যমে ভারত থেকে গাঁজা এনে সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় গাঁজার ব্যবসা করছিল। গাঁজা সরবরাহকারী কালাম তাদের নিকট ৭ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকা পরিশোধ না করায় তিনি গাঁজা সরবরাহ বন্ধ করে দেন। এতে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।


গাঁজা সরবরাহকারী আবুল কালামের পাওনা টাকা পরিশোধ করে পুনরায় ব্যবসা চালু করার জন্য গত রোববার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে ফারুক ও রতন সোনাহাট হাই স্কুল মাঠে ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখা আব্দুস ছাত্তারের একটি শাহিওয়াল জাতের ৭০ হাজার টাকা দামের বকনা গরু চুরি করে। 


ফারুক ও রতনের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, তারা গরুটি গাঁজা সরবরাহকারী আবুল কালামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল। গরুটি কালামের বাড়িতে নিয়ে গেলে কালাম তার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গরুটি আটকে দেয়। 


অপরদিকে মাঠে গরু দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন তাকে জানায় ফারুক ও রতনকে তারা একটি গরু নিয়ে যেতে দেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বলা হয়েছিল গরুটিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 


এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গরুর মালিক আব্দুস ছাত্তার ওই দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা গরু চুরি ও গরু আটকে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল কালামকে সাত হাজার টাকা দিয়ে সন্ধ্যায় গরুটি উদ্ধার করা হয়।


বঙ্গসোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান মায়নুল ইসলাম লিটন জানান, ‘গরু চুরির অভিযোগে ফারুক ও রতনকে রোববার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়েছিল। চুরির দায় স্বীকার করায় তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।’ 


ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্তদের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’