খুন কিংবা গুম নয়, বরং নিজেই আত্মগোপনে রয়েছে এমন গুঞ্জন এখন মানুষের মুখে মুখে। গত (২'অক্টোবর) মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা আশা এনজিওর বাওট ব্রাঞ্চের অফিস সহকারী হৃদয় হােসেন (২৩) নিখোঁজের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নিখোঁজ হৃদয়কে খুন করে লাশ গুম করা হয়েছে।
তবে, ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও নিশ্চিত করে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে আশা এনজিওর অফিস সহকারী হৃদয় সংস্থাটির মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে নিজেই নিজেকে আত্নগোপন করেছে। হৃদয় উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের মিন্টু হােসেনের পুত্র।
হৃদয়ের 'মা' আক্তার বানু জানান, 'আশা অফিসের সামিয়া খাতুন নামের এক মহিলা কর্মীর সাথে ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের অবৈধ সম্পর্ক ও অনৈতিক কর্মকান্ড হৃদয়ের জানা ছিলো। তারই জের ধরে হৃদয়কে ম্যানেজার নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন (শনিবার) রাতে মোবাইল ফোনে হৃদয়কে আশা অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। রাতে হৃদয় বাড়ি ফেরেনি। কিন্তু অফিসের সিড়ি ও মেঝেতে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়।'
ঘটনার দিন (রবিবার) সকালে রক্তের দাগ দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী হৃদয়কে খুন ও গুম করা হয়েছে সন্দেহে ম্যানেজার আমিনুলকে কয়েক দফা গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং গণপিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, হৃদয়ের রক্তের গ্রুপ এবং আশা এনজিওর অফিসে পড়ে থাকা রক্তের গ্রুপের মধ্যে কোন মিল নেই। জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মহিলা কর্মী সামিয়া এবং ম্যানেজার আমিনুল দু'জনই জীবিত রয়েছে আবার পড়ে থাকা রক্ত হৃদয়ের না। তবে কি হৃদয় নিজেই আত্মগোপনে রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন কিছু খোলসা করেনি। তবে, হৃদয়ের আত্মগোপনের সূত্রটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বিষয়টি নিয়ে বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।