শীতের শুরুতে হিলিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ২১শে নভেম্বর ২০২২ ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শীতের শুরুতে হিলিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা

দিনাজপুরের উত্তরের উপজেলা হিলিতে অন্যান্য এলাকার তুলনায় খানিকটা আগে ভাগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। তাইতো লেপ-তোষক তৈরি করতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে দোকানগুলোয়। দোকানদার ও কারিগররাও ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোষক সরবরাহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বিক্রেতাদের আশা, আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হলেই গ্রামের মানুষজন শহরে আসতে শুরু করবেন। তখন অর্ডারের সংখ্যা আরো বাড়বে। 


সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে হিলির তুলার আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, কারিগররা সুই-সুতা দিয়ে লেপ-তোষক তৈরি করছেন। লেপ-তোষক তৈরির জন্য আড়তগুলোতে উঠানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকার তুলা। বিক্রেতাদের সাথে বলে জানা গেছে, ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তুলা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা গজ হিসেবে লেপ-তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন দোকানদাররা। ভালো মানের তুলা দিয়ে লেপ তৈরিতে করতে খরচ পড়ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। আর একটু নিম্নমানের তুলা দিয়ে লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।


একটি লেপ তৈরি করতে মজুরি হিসেবে কারিগররা পান ২৫০ টাকা। তবে শীতের প্রভাব বেশি হলেও এখনো হিলিতে তেমন নেই তোষকের অর্ডার। 


তুলার দোকানে লেপ-তোশক অর্ডার দিতে গৃহবধূ আলেয়া বেগম বলেন, ভালো মানের তুলার দাম একটু বেশি। কিন্তু উপায় নেই নতুন মেয়ে জামাইকে শীতে লেপ-তোশক দিতে হবে। তাই ৩৫ টাকা কেজি দরে ১৮০০ টাকা দিয়ে একটি লেপ ও ৩২০০ টাকা দিয়ে একটি তোশক এর অর্ডার দিলাম। 


লেপ-তোষক তৈরির কারিগর আজিজুর রহমান বলেন, শীত পড়ে গেছে। লোকজন আসতে শুরু করেছে লেপ-তোষক তৈরি করতে। এই আড়তে আমরা তিন কারিগর কাজ করি। দিনে ৫ থেকে ৬টি লেপ তৈরি করছি। এতে যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে চলছি। তবে সব জিনিসপাতির দাম বেড়ে গেছে। যদি আমাদের মজুরি আর একটু বাড়তো তাহলে অনেক ভালো হতো।


তুলা ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে তুলা বিক্রি করি। দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি তুলা বিক্রি হয়। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে তাই গ্রামের লোকজন এখনো শহরে আসতে পারছে না। আমার কাছ থেকে তারা তুলা কিনে লেপ-তোষক তৈরি করেন।


হিলি বাজারে তুলার আড়তদার আব্দুল খালেক বলেন, কিছুদিন ধরে শীত পড়ছে। মানুষজন লেপ-তোষকের অর্ডার দিচ্ছেন। গ্রামের মানুষ বর্তমানে আমন ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তাই অনেকে শহরে আসতে পারছে না। ফলে কাজের অর্ডার কম হচ্ছে। আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হলে কৃষকদের হাতে টাকা আসবে। তখন তারা শহরে আসবেন শীতের জন্য লেপ-তোশক এর অর্ডার আরও বারবে বলে আশা করছি।