হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ডলার সংকট এর অন্যতম কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শুক্রবার ২রা ডিসেম্বর ২০২২ ০২:৫৬ অপরাহ্ন
হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ডলার সংকট এর অন্যতম কারণ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য কমেছে এবং পণ্য রফতানি প্রায় শূন্যর কোটায়। সম্প্রতি ডলার সংকট এর অন্যতম কারণ বলে জানান বন্দরের আমদানিকারকরা। ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো এলসি না খোলায় পণ্য আমদানিতে মন্দা প্রভাব পড়েছে। বন্দরে আমদানি কমার কারণে কমেছে সরকারের রাজস্ব আদায়।


হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯১৩ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৪ হাজার ৭৩৮ টন। সে হিসেবে আমদানি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৫ টন কমেছে। 


হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো কোনো এলসি না করায় আমরা আমদানিকারকরা চরম বিপাকে পড়েছি। সম্প্রতি পেঁয়াজ ও চালের কিছু করে এলসি দিলেও সেটি আমদানিকারকদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। যেখানে ১০টি এলসি খোলার দরকার তার বিপরীতে দুটি দিচ্ছে। তিনি শর্তসাপেক্ষে কাঁচাপণ্য ও খাদ্যদ্রব্য আমদানির জন্য এলসি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।


হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা পণ্য আমদানির জন্য ব্যাংকে কোনো এলসি করতে পারছি না। খাদ্য দ্রব্যের এলসি দেয়ার কথা বললেও দিচ্ছে না। আমাদের অনেক পণ্য ভারতে ক্রয় করা আছে। সেগুলো আনতে পারছি না। এ কারণে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে আগের এলসির বিপরীতে পণ্য আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।


ন্যাশনাল ব্যাংক হিলি স্থলবন্দর শাখার ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমদানিকারকরা একেবারেই এলসি খুলতে পারছেন না তা নয়। বৈশ্বিক মন্দা ও ডলারের যে সমস্যা আন্তর্জাতিক বাজারে রয়েছে তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। তবে আগে আমদানিকারকদের চাহিদামতো এলসি খুলতে পারলেও বর্তমানে তা পারছি না।


হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও আমদানির পরিমাণ কমে গিয়েছে। আগে প্রতিদিন ১৮০-২০০ ট্রাক পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৪০-১৬০ ট্রাকে নেমেছে। বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমের কারণে রাজস্ব আয়ও কমে গিয়েছে।


হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বন্দরের রাজস্ব আয়ও কমে গিয়েছে। যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।