দিনাজপুরের হিলি বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে প্যাকেটজাত চিনি। সরকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার পর থেকেই বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার চেয়ে বেশি দামেই চিনি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দাম আরো বাড়াতে পাইকার ও মিল মালিকরা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, বাজারে প্রায় দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। নতুন দামে চিনি কোন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও দুই একটা দোকানে আছে দাম ১২০ টাকা কেজি। সম্প্রতি মোড়কজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা থেকে ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর খোলা চিনির দাম ৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০২ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স আ্য্যসোসিয়েশন।
হিলি বাজারে আসা গৃহবধূ আলতাফুন বেগম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে আসলাম মোটামুটি সব জিনিস পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে খোলা চিনি পাওয়া গেলেও দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। হিলির চারমাথা মোড়ের মুদি দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, চিনির যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সে দামে আমরা কিনতে পাচ্ছি না। তিন-চারদিন ধরে চিনির ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখলেও চিনি পাইনি। অনেক মহাজন চিনি মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোকলেদা খাতুন মীম বলেন, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করি এর পরও দাম বাড়ানোর অভিযোগ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।