মাদারীপুরে সুদের টাকার চাপে কৃষকের আত্মহত্যা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,উপজেলা প্রতিনিধি কালকিনি (মাদারীপুর)
প্রকাশিত: শুক্রবার ৯ই ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৪০ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে সুদের টাকার চাপে কৃষকের আত্মহত্যা!

মাদারীপুরের ডাসারে সুদের টাকার চাপে গলায় ফাস দিয়ে বাবুল মল্লিক(৪৫) নামে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। আজ সকালে এ ঘটনা ঘটে। সুদের টাকার চাপে আত্মহত্যার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। লিটনের  দাবি  মিথ্যা প্রচার।


সরেজমিন ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের আলীসাকান্দি গ্রামের হাকাই সিকদারের ছেলে সুদ ব্যবসায়ী লিটন সিকদারের কাছ থেকে গত দুইবছর পূর্বে পাচ হাজার টাকা সুদে নেন একই এলাকার বাবুল মল্লিক। কিন্তু সুদ ব্যবসায়ী লিটন সিকদার গত এক মাস আগে বাবুল মল্লিকের কাছে পাচ লক্ষ টাকা দাবি করেন,বাবুল মল্লিক টাকা না দিতে পারায়, লিটন সিকদার জোর পূর্বক ১.২০ এক একর বিশ শতাংস জমি দখল করেন। এই চাপ সইতে না পারায় নবগ্রামের মৃত রসরাজ মল্লিক এর ছেলে বাবুল মল্লিক(৪৫) নামে এক কৃষক বাড়ির পাশে আম গাছের সাথে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে ডাসার থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।


বাবুল মল্লিকের স্ত্রী বুলবুলী মল্লিক,বোন সন্দা মল্লিক ও ছেলে তুর্য মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, নবগ্রাম ইউনিয়নের আলীসাকান্দি গ্রামে লিটন সিকদারের কাছ থেকে দুই বছর আগে পাচ হাজার টাকা সুদে আনেন। ওই সময় সাদা স্টাম্পে সই রাখেন এবং পরবর্তিতে পাচ হাজার টাকার স্থানে পাচ লক্ষ টাকা লিখে আমাদের কাছে টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। আমরা ওই টাকা না দেয়ায় আমাদের ১.২০ এক একর বিশ শতাংস জমি জোর করে ০৭-১২-২০২২ইং তারিখ দখল করেন। এই চাপ সইতে না পারায় সে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।  


বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক মিহির হালদার বলেন, বাবুল একটি ভাল ছেলে,তার সাথে এলাকায় কারও সঙ্গে বাকবিতন্ডাও ছিল না। আমরা শুনেছি লিটনের কাছ থেকে পাচ হাজার টাকা সুদে আনে। সে খানে পাচ লক্ষ টাকা দাবি করে, ছয় জোষ্ঠ ধানের জমি জোর করে দখল নেন সুদ ব্যবসায়ী লিটন। আমাদের ধারনা,সেই চাপ সইতে না পারায় বাবুল আত্মহত্যা করতে পারেন।

আমাদের এলাকায় সুদ ব্যবসায়ী এতো পরিমান বেড়েছে, এ সুদের টাকার জন্য অনেক পরিবার তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। অনেকে আজ এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় লুকিয়ে স্ত্রী,ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করে।


অভিযুক্ত লিটন বলেন,আমি তার কাছে কোন টাকা সুদে লাগাইনি। তবে তার কিছু জমি জাষাবাদের জন্য আমি টাকার বিনিময় বন্দক রাখে। এখন তার পরিবার, অপপ্রচার চালাচ্ছে যে,সুদের টাকার জন্য আমি জমি দখল করছি।