নওগাঁ শহরে বিধবার বাড়ি যাওয়ার পথ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
নওগাঁ শহরে বিধবার বাড়ি যাওয়ার পথ বন্ধ

নওগাঁ শহরের চক-এনায়েত (মাস্টার পাড়া) মহল্লায় বিধবার বাড়ি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে আলিম মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। দীর্ঘ দিন থেকে পথটি বন্ধ থাকায় তিনি অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে এবং ঘুরে তার নিজ বাড়িতে যেতে হচ্ছে। ওই বিধবা নাছিমা পারভীন। তিনি মৃত মোকলেছুর রহমান এর স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।


জানা গেছে, গত ২০০৭ সাল থেকে শহরের চক-এনায়েত (মাস্টার পাড়া) মহল্লায় পৌর বিধান অনুযায়ী সীমানা ছেড়ে বাড়ি তৈরি করে বিধবা নাছিমা পারভীন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তার বাড়িটি প্রতিবেশী আলিম মল্লিক ও শাহিন এর বাড়ির পিছনে। তাদের দুই বাড়ির মাঝখানে সরু পথ। ওই পথ দিয়ে তাকে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে হয়।


কিন্তু আলিম মল্লিক ইটের প্রাচীর দিয়ে ওই সরু পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা ফেলে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পথ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিবেশীর বাড়ির ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে ওই বিধবাকে। এভাবে তাকে ১৫ বছর ধরে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতিবেশীর একজন ওই ইটের প্রাচীর ভেঙে রাস্তা দিতে চাইলেও আলিম মল্লিক ভাঙতে নারাজ। আলিম মল্লিক বাধা দিচ্ছে এবং নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেন ওই বিধবা। এতে শান্তি ভঙ্গের কারণও হতে পারে। ইটের প্রাচীরটি সরিয়ে দ্রুত পথটি চালু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই বিধবা।


এ ব্যাপারে আলিম মল্লিক বলেন, ১৯৯১ সালে বাড়ি সহ জমি কিনেছি। আর পশ্চিম পাশে রয়েছে শাহিন নামে অপর এক জনের বাড়ি। পাশাপাশি দুই বাড়ি থাকায় সেখানে গলি (সরুপথ) হয়েছে। আর ১৯৯৭ সালে নাছিমা পারভীন জমি কিনেছেন। সে সময় সেখানে কোন পথ ছিল না। তারপরও তারা (নাছিমা পারভীন) আমার জায়গা জোর পূর্বক দখল করে বাড়ি করেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান।


নাছিমা পারভীন বলেন, আমি ১৯৯৭ সালে ওই জমি কবলা করেছি। এরপর ২০০৭ সালে আমি বাড়ি তৈরি করেছি। এর কিছুদির পর আলিম মল্লিক ওই পথটি বন্ধ করে দেয়। এরপর ভোগান্তী শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিবেশী কামরুজ্জামান এর বাড়ির ভিতর দিয়ে আমার বাড়ি যেতে হচ্ছে। অন্যের বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বকাঝকা খেতে হয়। যে কোন সময় তারাও পথ বন্ধ করে দিতে পারে। ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েছি। বিধবা হওয়া এখন অনেকটা অসহায়। ওই পথটি চালু হলে আমার জন্য সুবিধা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


এ বিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মীর্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#