সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল গরীব দুঃখী অসহায় মানুষ স্বল্প মূল্য বা বিনামূল্যে পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ভিজিডি, ভিজিএফ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চালসহ বিভিন্নভাবে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে চাল দেওয়ায় বাজারে দাম কমেছে। এদিকে, চালের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হিলি বন্দরের চাল বাজার ঘুরে জানা যায়, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে সব ধরনের চাল কেজিতে ৪-৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তারপরও দোকানে বেচাকেনা ও অনেক কমেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে ৫৯ টাকার সম্পাকাটারি চাল ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ৪৭ টাকার আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায় এবং ৫৮ টাকার মিনিকেট চাল কমে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা নাসির উদ্দিন বলেন, বাজারে চাল কিনতে আসছি। এসে দেখি গত দুই সপ্তাহের চেয়ে আজ চালের দাম একটু কম। দুই তিন সপ্তাহ আগেও সম্পাকাটারি চাল ৫৯-৬০ টাকা কেজি নিয়েছিলাম, আজ ৫৪ টাকায় নিলাম। আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ কেজি দরে।
ইজিবাইক চালক এমদাদুল হক বলেন, আমি গরীব মানুষ, ইজিবাইক চালিয়ে খাই। সারাদিন যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের চাল, ডালসহ সব কিনতে হয়। আজ আটাশ জাতের চাল ৪৪ টাকা করে কিনলাম। এর আগে এই চাল ৪৭ টাকা দরে কিনেছি।
হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন অনুপ কুমার বসাক বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে চালের দাম কমে গেছে। সব ধরনের চাল কেজিতে ৪-৫ কম দামে বিক্রি করছি। সরকার বিভিন্ন ভাবে গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করছেন। ফলে বাজারে চালের চাহিদা কমে গেছে। সেই সাথে দোকানে বেচাকেনা ও অনেক কমেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।