ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫ টি পরিবারের মাঝে স্বাবলম্বীকরণ উপকরণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আলমগীর হোসেন - ঠাকুরগাঁও সদর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৯ই জুলাই ২০২৪ ০৮:৩২ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫ টি পরিবারের মাঝে স্বাবলম্বীকরণ উপকরণ বিতরণ

"তেতুঁলিয়া থেকে টেকনাফে দারিদ্র্য বিমোচন হবে দান-অনুদান-জাকাতের অর্থে" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ে স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 


শনিবার দুপুরে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং চেংঠী হাজারাডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত কিসামত বাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত হিদায়াহ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের উপকরণ হস্তান্তর করা হয়৷ অনুষ্ঠানে ০৯ টি পরিবারের গরু, ০৪ টি পরিবারের দুইটি করে ছাগল, ০১ টি পরিবারের ক্ষুদ্র ব্যবসা (ভ্রাম্যমাণ দোকান) ও ১ টি পরিবারের কাছে সেলাই মেশিন তুলে দেয়া হয়। 


অনুষ্ঠানটি ১০ নং চেংঠী হাজারাডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রইসউদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুইজু বাইজিয়া গ্লোভ কোং লিমিটেডের সিইও মাসুদ হোসেন খান। 


প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিদায়াহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের গুরুত্ব ও রূপরেখা তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও মিডিয়া-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তারেক তাশহাদ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমদে, সমাজসেবক তালামুন ইসলাম, আফসার আলী সরকার ও উদয় সেনসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্টজন।


এ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ এবং উপকারভোগীদের নিয়ে শিখি কার্যক্রম চালু করা হয়৷ শিখি কার্যক্রমের আওতাভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-বাংলা শিক্ষা, আরবি ও দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং গবাদিপশু লালন-পালন ও উদ্যোক্তা তৈরি। স্থানীয়ভাবে এই প্রকল্প ও শিখি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন সুপারভাইজার ও দুজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। দোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিখি কার্যক্রম পরিচালনা সমাপ্ত করে স্থানীয় মসজিদে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথি বলেন- আপনাদের কাছে যে উপকরণ হস্তান্তর করা হয়েছে তা আপনাদের নিজের। এটা বিক্রি করে বা অন্যকাজে ব্যয় করে শেষ করা যাবেনা৷ এর মধ্য থেকে আয় বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী হতে হবে। 


অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হিদায়াহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ বলেন- দীর্ঘ থেকে হিদায়াহ ফাউন্ডেশন সমাজকল্যাণমুখী নানা কাজ করে আসছে। বন্যার্তদের সহযোগিতা, সবার জন্য কুরবানী, চিকিৎসা সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সবুজ পৃথিবী নির্মাণ কমর্সূচী। এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুনিয়াবি কোনো সার্থ নিয়ে কাজ করেনা। মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের রূপরেখা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তারেক তাশহাদ উল্লেখ করেন- এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এই প্রকল্প কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্প এবং শিখি কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়ে একটি মডেল এরিয়া গড়ে তোলা সম্ভব। 


অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা জানায়-কখনো এতো মহৎ আয়োজন দেখিনাই। আল্লাহর পক্ষ সরাসরি রহমত নাজিল হইছে। পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে। না হইলে কি এতো এতো জিনিস মানুষ মানুষরে দেয়!