দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ-১ মৌসুমে আউশ ধান ও গ্রীষ্মকালীন মুগডালের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে এই বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ আরজেনা বেগম, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মোনতাসির মামুন, পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ গোলাম রব্বানী, হিলি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গোলাম রব্বানী, সফল কৃষক কামরুজ্জামান শুভ, কৃষক-কৃষাণী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ আরজেনা বেগম বলেন, আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এবার হাকিমপুর উপজেলায় ৩০০ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি আউশ ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। মুগডালের বীজ ও সার আসলে সেগুলোও কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকরা সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই প্রণোদনা তাদের আউশ ধান উৎপাদনে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক উপকৃত হবেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন করবে। এ ধরনের কর্মসূচি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা কৃষি খাতে উন্নয়নের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা আনয়নে সরকারের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে হাকিমপুর উপজেলার কৃষকরা আউশ ধান ও মুগডাল চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন এবং কৃষি উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
গোলাম রব্বানী, হিলি প্রতিনিধি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।