প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় গভীর রাতে এক পরিবারের সদস্যদের চেতনানাশক স্প্রে করে অচেতন করে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আক্রান্ত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন মো. সহিদুল ইসলাম মিরা (৪৮), তার স্ত্রী মোসা: আকলিমা বেগম (৪২), তার মা লালবানু (৮৫) ও ছেলে মো. সানাউল্লাহ (২০)। বর্তমানে তারা কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম মিরা জানান, তিনি গরু কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও ঘুম ভাঙেনি কারও। একপর্যায়ে পরিবারের অন্য সদস্য ডাকাডাকি করলে তিনি হঠাৎ জেগে ওঠেন এবং শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন।
পরে ঘরের ভেতরে চারপাশে তাকিয়ে দেখেন আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। বাইরে থেকে গেট ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঢুকেছে এবং জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে করেছে বলে তার ধারণা। এরপর তারা ঘরের ভিতরে ঢুকে আলমারিতে রাখা গরু কেনার জন্য রাখা নগদ দুই লক্ষ টাকা এবং তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জুয়েল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চুরির রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং খুব শিগগিরই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এর আগের দিন শনিবার রাতে একই উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম রজপাড়া গ্রামের বিশকানি এলাকায় আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে আবদুস সোবাহানের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে এক লক্ষ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
একই উপজেলার দুই রাতে দুটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী নিয়মিত পুলিশ টহলের দাবি জানিয়েছে।