প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৬
নোয়াখালী-৪ আসনের প্রস্তাবিত নতুন সীমানা থেকে সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সোনাপুর-কবিরহাট সড়কে হাজারো মানুষ জমায়েত হয়ে নানা স্লোগানে প্রতিবাদ জানায়।
অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা রাস্তায় নেমে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। নেয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
অবরোধ চলাকালে ঘটনাস্থলে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হয়। তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াত, বিএনপি ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের মানদণ্ড অনুযায়ী সাংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে “অখণ্ড প্রশাসনিক ইউনিট” রক্ষা করার কথা বলা হলেও অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে নোয়াখালী-৪ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা অবিচার ও অসম্মানজনক।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, সদর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিমসহ অন্যান্য নেতারা বলেন, এই ইউনিয়নগুলো বাদ দিলে জনগণের সাথে বেঈমানি হবে এবং এতে ভোটারদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
নেয়াজপুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল ও অন্যান্য বক্তারা জানান, এই সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে এবং যেকোনো মূল্যে দুই ইউনিয়নকে পূর্বের আসনে ফিরিয়ে আনার দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
অশ্বদিয়া নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম বলেন, আমাদের দাবি অবিলম্বে মানা না হলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছেড়ে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং জনগণের বাস্তব দাবিকে উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। তারা আশা করছেন নির্বাচন কমিশন এই ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সংশোধিত প্রস্তাব প্রকাশ করবে।