প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১১
নওগাঁর পোরশা উপজেলার কালাইবাড়ী গ্রামে ২০০৩ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পর আদালত রায় ঘোষণা করেছে। রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। মামলায় চারজন আসামী খালাস পেয়েছেন।
২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সকালে কালাইবাড়ী গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শফিকুল, মিজানুর, সেরিনা, বইফুল ও নার্গিস সুলতানা নামের পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে শফিকুল, সেরিনা ও নার্গিসের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা যান।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সামাদ পোরশা থানায় ২৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে নওগাঁ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবু বক্কর সিদ্দিক (পলাতক), কাদের এবং আমির আলী। এছাড়া দুরুল হুদা (পলাতক), মো. সেমাজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, মো. আবুল কাশেম, মো. রেজাউল করিম, মো. ওয়াজেদ আলী, আবুল কালাম এবং মো. আলিমকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ মামলায় রফিকুল ইসলাম, কহিনুর বেগম, মরিয়ম বিবি এবং কমেলা বেগম নামের চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে সায়েদা নামের একজন আসামীর মৃত্যু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত কৌশলী সাব্বির আহম্মেদ এবং আসামী পক্ষের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ, সঞ্জীব সরকার ও নাজমুন নাহার। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই রায়কে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছেন।