প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে দীর্ঘদিন পর পুনরায় চারদিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়”কে মূল উদ্দেশ্য হিসেবে ধারণ করে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। মেলা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এবং শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করবে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ফেরদৌস রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা কামাল ও প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থী আসিক জানান, তিনি প্রথমবার হিলিতে ভ্রাম্যমাণ বই মেলা দেখেছেন। এতে বিভিন্ন লেখকের বই পাওয়ায় তিনি অনুপ্রেরণা অনুভব করছেন এবং আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি বই মেলা আরও বেশি হোক। দর্শনার্থী জাকিয়া ডলি বলেন, বিদ্যালয় মাঠে এ ধরনের বই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আনন্দিত এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
মেলার ইউনিট ইনচার্জ অমিত চক্রবর্তী জানান, মেলায় ১৫০টি প্রকাশনীর ১০ হাজারের বেশি বই থাকবে। এছাড়াও থাকবে চিত্র অঙ্কন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম, যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য শিক্ষণীয় ও বিনোদনমুখর হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বই মেলার আয়োজন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করবে। এছাড়াও এই মেলার মাধ্যমে বই পড়া ও ক্রয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আশ্বাস দেন, মেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সাধারণ জনগণ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। মেলা চলাকালীন সময়ে পাঠকরা বই কিনতে এবং পড়তে পারবে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠক চর্চা বৃদ্ধি করবে এবং স্থানীয় প্রকাশকদের কাজকে উৎসাহিত করবে।
বই মেলার আয়োজন স্থানীয় সামাজিক ও শিক্ষামূলক পরিবেশকে সমৃদ্ধ করবে এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও সৃজনশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও এটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে পাঠাভ্যাস বাড়াতে সাহায্য করবে এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে।
মেলা শেষ হবে বৃহস্পতিবার। এই চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান হিলি অঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং পাঠকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক উপলক্ষ্য হিসেবে 자리 করে।