প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৫
সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথর থেকে পাথর লুটের ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের সংশ্লিষ্টতায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান শুরু করেছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই অনুসন্ধান পরিচালনা করছে।
তদন্তের আওতায় যারা পাথর লুটে আর্থিক লাভবান হয়েছে বা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেট জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ঘনফুট প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিদিন অন্তত ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা ও ৩০০ ট্রাকের সমন্বয়ে কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকের মতে, প্রতিস্থাপন কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। পাথরের সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি, কারণ অনেক পাথর ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩০ শতাংশ পাথর এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তিন দিনের আল্টিমেটামের পর বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে যার কাছে লুট হওয়া পাথর পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিস্থাপন কাজ প্রকৃতির কাছাকাছি রূপে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় পর্যটনকেন্দ্র ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রশাসন চেষ্টা করছে যাতে উদ্ধারকৃত পাথরের প্রতিস্থাপন প্রকৃতির ক্ষতি না করে সম্পন্ন হয় এবং পর্যটকদের আগমন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সিআইডির অনুসন্ধান এবং প্রশাসনের উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে লুট হওয়া পাথরের সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দায়িত্বে আনা সম্ভব হবে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রায় ৫০ জন সংশ্লিষ্টতা শনাক্ত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং পাথর প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র পুনরায় সচল হয়ে উঠবে এবং স্থানীয় জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।