কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নে ঘটে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান সরকার ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর মারা যাওয়ার পাঁচ বছর পরই একটি মামলায় আসামি হিসেবে নোটিশ পেয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সি আর মামলা নং-৩২৯/২৫, ২৮ মে ২০২৫ তারিখে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, তদন্ত স্বার্থে আসামি হিসেবে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকার বনশ্রীতে পিবিআই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারা অনুযায়ী হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মরহুম চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ হাসান সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আব্বা দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি ৩০ অক্টোবর ২০২০ সালে মারা গেছেন। অথচ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে ২৮ মে ২০২৫ তারিখে। কি বলবো বুঝতেছি না, মরেও শান্তি নাই এই দেশে।”
স্থানীয়রা এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে নোটিশ পাঠানো প্রশাসনের চরম উদাসীনতা ও অবহেলার প্রমাণ। প্রশাসনের এই ভুল সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর সমালোচনা ও প্রশ্ন তৈরি করেছে।
স্থানীয় আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ ধরনের ভুল প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়ার ত্রুটির ফলাফল। তারা মনে করছেন, মৃত ব্যক্তিকে মামলা নোটিশে নাম অন্তর্ভুক্ত করা আইনগতভাবে অবৈধ এবং তা সংশোধনের প্রয়োজন।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা কমতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষ আশা করছেন, দ্রুত এ ধরনের ত্রুটি সমাধান করা হবে এবং ভুল নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে।