প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮
আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ভাইস-প্রেসিডেন্ট বা ভিপি পদকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ পদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী তাহমিনা আক্তার।
তাহমিনার নির্বাচনী ইশতিহারে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে। তিনি তার সাত দফা কর্মসূচিতে দলীয় আধিপত্যমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি পরীক্ষা ফি বাতিল এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ডাকসু তহবিলের বড় অংশ বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এছাড়া কোটা প্রথা বাতিল, আবাসিক হল ও শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো দাবিগুলো তার ইশতিহারে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এসব দাবিগুলো সরাসরি তাদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় তাহমিনা আক্তারের প্রচারণা বেশ সাড়া ফেলেছে।
তাহমিনা আক্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জীবিত হলে মানবসত্তা, জীবিত হবে মানবজীবন। জীবিত হলে মানবতার রাজনীতি, জীবিত হবে মানবতা। তার এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন ধরণের রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই বলছেন, দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং এবার প্রার্থীদের মধ্যে ভিন্নধর্মী চিন্তা ও প্রতিশ্রুতি দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে তাহমিনা আক্তার ভিপি পদে বড় চমক দেখাতে পারেন।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদ সবসময়ই সবচেয়ে আলোচিত থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রচলিত ধারা ভেঙে নতুন কিছু করার মানসিকতা যাদের মধ্যে দেখা যায়, তারাই বেশি সমর্থন পাবে। এই দিক থেকে তাহমিনা আক্তারের প্রার্থিতা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আগামীকালের ভোটকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবারকার ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও নতুন নেতৃত্বের উত্থান ঘটাবে।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন হলে তাহমিনা আক্তার ভিপি পদে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের রায়ের ওপর।