প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:২
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, তার মৃত্যুর কোনো ভয় নেই। তিনি চান, দেশের শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে। সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসভবনের সামনে পূর্বঘোষিত কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জরুরি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমরা খারাপ সময় পার করছি। সেই আশা ও ভরসা, যা নিয়ে আমরা যৌবনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, আজ তা ধূলিসাৎ হতে চলেছে।” তিনি অবাক হয়েছেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। তার মতে, এটি একটি রেকর্ড হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা যখন একত্র হবেন, তখন তাদের সভা বন্ধ করা হয়েছে যা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, তার বাসায় হামলা হয়েছে। যদি তার বাসায় আক্রমণ সম্ভব হয়, তাহলে দেশের অন্য কোথাও নিরাপত্তা নেই। এই পরিস্থিতি তাকে গভীরভাবে চিন্তিত করেছে। কাদের সিদ্দিকী মনে করছেন, যারা চব্বিশে বিজয়ী হয়েছেন, তারা যদি এখন ব্যর্থ হন, ভবিষ্যতে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসবে না। এজন্য তার মতে, তাদের সফল হওয়া উচিত।
৮০ বছরের কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি যদি যেতে পারেন, আরও খুশি হবেন। তবে দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা পেলে তার বাড়ি ধ্বংস হলেও তিনি রাজি থাকবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার আহ্বান, দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য এগিয়ে আসা।
কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা বিকেলবেলায় তার বাসভবনের সামনে মিছিল করে। পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিচতলায় সমাবেশ করেন। সমাবেশে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল, ফজলুল হক বীর প্রতীক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব ও বাসাইল উপজেলা শাখার সভাপতি রাহাত হাসান টিপু।
এর আগে বাসাইল উপজেলায় কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্রসমাজের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আদেশ বলবৎ ছিল। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ দিনব্যাপী তৎপর ছিল। আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রসমাজ শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠানস্থলে যায়নি।
এই ঘটনাগুলো দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক করে তুলেছে। কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণের গুরুত্বের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।