প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার রামদাস ধনিরাম গ্রামের কোহিনুর বেগম লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। দীর্ঘ প্রায় এক বছরের চিকিৎসার পরেও তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠেছে। অসহায় পিতা কফিল উদ্দিনের কষ্টও সীমাহীন। দীর্ঘ আট বছর ধরে কিডনির রোগে আক্রান্ত তিনি নিজের চিকিৎসার পাশাপাশি মেয়ের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছেন।
কোহিনুর বেগমের জীবনটা শুরু থেকেই কষ্টের। ২৮ বছর আগে বিয়ের পর স্বামী আইনুল মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কোহিনুর বেগম বাধ্য হয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন। উপার্জিত অর্থ দিয়ে অসুস্থ স্বামী ও পরিবারের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতেন।
হঠাৎ কোহিনুর একবার ঢাকায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গার্মেন্টসের কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন। পরে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে যে, তার লিভারে ক্যান্সারের জটিল রোগ। চিকিৎসার জন্য কোহিনুরকে বহু থেরাপি নিতে হবে, যার খরচ প্রতি থেরাপি প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পুরো চিকিৎসার জন্য প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন।
কফিল উদ্দিন তার শেষ সম্বল বাড়ীর ১০ শতক জমি বন্ধক রেখে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়েছেন। কিন্তু এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। বাবা কফিল উদ্দিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে দয়ালু মানুষদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন, যাতে তিনি ও তার মেয়ে কোহিনুর বাঁচতে পারেন।
অসুস্থ কোহিনুর বেগমও বাকরুদ্ধ কণ্ঠে জানিয়েছেন, তিনি বাঁচতে চায়। সমাজে অনেক দয়ালু মানুষ আছেন যারা সাহায্য করলে তার জীবন ফিরে আসতে পারে। চিকিৎসা চালিয়ে গেলে তিনি পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
চিকিৎসার জন্য সহায়তা দিতে ইচ্ছুকরা সোনালী ব্যাংক, উলিপুর শাখায় একাউন্ট নং ৫২১৭৫০১০৪৭৪৯০-এ অর্থ পাঠাতে পারেন, অথবা বিকাশ নং ০১৮১৫৮৮৮৮৬৯-এ টাকা পাঠানো সম্ভব।
কফিল উদ্দিন বলেন, তিনি সবকিছু হারিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে চান। দয়ালু মানুষদের সহযোগিতা তার এবং কোহিনুরের জীবন রক্ষার একমাত্র উপায়। স্থানীয়দের মতে, দান ও সহায়তা ছাড়া তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
এই পরিস্থিতি দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করে যে, মানবিক সহায়তা অনেক জীবন বাঁচাতে পারে। কোহিনুর এবং তার বাবার মতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।