প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত ৮টি কেন্দ্রে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখিয়েছেন।
এই নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এছাড়া ১৮টি হলে ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংখ্যার দিক থেকে এবারের ডাকসু নির্বাচন গত কয়েক বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ জানান, দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিঙ্ক (ইউটিএল) নির্বাচনের পর্যবেক্ষক টিম ভোটের সার্বিক পরিবেশকে সন্তোষজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা জানান, ছোটখাটো অভিযোগ ও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের পরিবেশ ভালো ছিল। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও উৎসাহের সঙ্গে ভোট প্রদান করেছে, যা নির্বাচনের জন্য আশাব্যঞ্জক।
ইউটিএল প্রতিনিধিরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতার কারণে তা বড় কোনো সমস্যায় রূপ নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন। তারা বলেন, কিছু শিক্ষার্থী আচরণবিধি সম্পর্কিত নিয়মগুলো ভুলভাবে বুঝতে পারে, যেমন প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না এবং ভোটাররা ১০০ মিটারের ভেতরে স্লিপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে না।
প্রতিনিধিরা আরও যোগ করেন, এসব নিয়ম মেনে শিক্ষার্থীরা ভোট প্রদান করেছেন এবং সার্বিকভাবে নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং দীর্ঘ সময় লাইনে থাকা নির্বাচনী উত্তেজনাকে স্মরণীয় করেছে। এতে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও সক্রিয়তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণের একটি শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে আগামীকাল শিক্ষার্থীরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করে ডাকসুর ৩৮তম কার্যকাল শুরু করবেন।