প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭
আগামী মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং মনোনয়নপত্র বিতরণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জমা নেওয়া শুরু হবে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ চলবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকানা প্রশাসনের অধীনে কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান। এই প্রশাসনের অধীনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি না, তা এখন ভেবে দেখার বিষয়।
নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তারা বলছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা দেখা গেছে, কারণ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি প্রচারণায় ব্যস্ত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের ‘দলান্ধতা’ অভিযোগও দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে প্রায়ই সমস্যা দেখা গেছে। এতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে এবং আন্দোলন করা হয়েছে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে। পুলিশ ও ক্যাম্পাস নিরাপত্তা বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে যাতে ভোটের দিন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে।
চাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় নীতি, শিক্ষার পরিবেশ ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ইস্যুতে কাজ করবে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ও প্রত্যাশা উভয়ই খুব বেশি।
নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় সমাজের সম্পর্ক জড়িত। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখতে প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনের সহযোগিতা অপরিহার্য।