প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৫
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনা থেকে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়া পুকুরের মাছকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় টুকু মুন্সি গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে পুকুর মালিক শোয়েব আলী ও তার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
উভয়পক্ষের কথাকাটাকাটি ক্রমশ উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং শেষে তারা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় নারী ও পুরুষ উভয়পক্ষের অন্তত ১৯ জন আহত হন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বিএনপির নেতার জানাযার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুকুর মালিক শোয়েবের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়। এই ঘটনার প্রতিশোধমূলক মনোভাব উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গ্রামে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পুকুরের মাছকে কেন্দ্র করে ছোট খাটো বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। বুধবারের ঘটনা সেই বিরোধের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, যদি উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় উভয়পক্ষের লোকজন পাথর, লাঠি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে। এতে আহতদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয়পক্ষকে আলাদা করে রাখে।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, গ্রামে যাতে পুনরায় এই ধরনের সহিংসতা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালানো হবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন হলেও প্রশাসনের তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।