ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জাতীয় নিবন্ধন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে জানুয়ারী ২০২২ ০৯:৪২ অপরাহ্ন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জাতীয় নিবন্ধন শুরু

শুরু হয়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জাতীয় নিবন্ধন কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশন জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের চার উপজেলায় শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইনে তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন উদ্যোক্তারা।


বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ শতাংশ। এর ২৫ শতাংশ আসছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে প্রায় ৭৮ লাখ উদ্যোক্তার কথা বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা এখনও অজানা।


সঠিক তথ্য না থাকায় উদ্যোক্তাদের সঠিকভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না সরকারি প্রণোদনা বা সহায়তা। এ অবস্থায় এটুআই- এর সহযোগিতায় জাতীয় এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু করল সরকার।


বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে ঢাকার শ্যামপুর, বগুড়ার আদমদীঘি, পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় পাইলট কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।


তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরসহ এমএসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক  কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এসএমই খাতে। এসএমই খাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে। তাই এসএমই ই-ডাটাবেজ কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। দেশের সকল এসএমই উদ্যোক্তার তথ্য একটি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া গেলে এই খাতের উন্নয়নে সরকারের নীতি নির্ধারণ সহজ হবে।


এই ডাটাবেজের মাধ্যমেই নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা ঋণ, সরকারি প্রণোদনা পাওয়া এমনকি নিজেদের পণ্য ডিজিটাল বিপণন প্লাটফর্ম এক শপে বিক্রির সুযোগ পাবেন। এতে অনিয়ম বন্ধ হবে বলে মনে করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় এই খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু নিয়মিত হালনাগাদকৃত ডেটাবেজ না থাকার ফলে আমাদেরকে প্রায়ই সিএমএসএমই খাত নিয়ে নানাবিধ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেগ পেতে হত। তাই আমি মনে করছি, এসএমই ফাউন্ডেশন ও এটুআই’এর এই উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত উদ্যোগ। আমি এটুআই’কে অনুরোধ জানাবো এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই কাজ অব্যহত রাখতে এবং দেশের সব সিএমএসএমই’কে কীভাবে এই ডেটাবেজের আওতায় আনা যায় তার জন্য যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। 


পলক আরও বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, তহবিলের যোগান এবং ব্যবসার বিভিন্ন সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইসিটি বিভাগ।


পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। WWW.smef.nise.gov.bd এই ওয়েব লিংকে লগইন করে একজন উদ্যোক্তা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সহায়তায় তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।