কুষ্টিয়াতে সবজি উৎপাদনেও ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আর সেই জেলাতেই সবজির খুচরা বাজার দর ঊর্ধ্বমুখী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ার সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আবহাওয়া এবং মাটির গুণাগুণের কারণে প্রায় সব ধরনের সবজি এই জেলায় আবাদ হয়। কুষ্টিয়ার পাইকারী সবজি বাজারে দুশ থেকে আড়াইশ মণ বেগুন আসে। স্থানীয় আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ সবজির একটি অংশ ক্রয় করেন। তবে সিংহভাগই চলে যায় ঢাকার কাওরান বাজারে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্তর্গত বিত্তিপাড়া, লক্ষিপুর ও শেখপাড়া পাইকারী এ তিনটি সবজি বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে আসে। এখানকার সাপ্তাহিক পাইকারি হাটে সরসরি ঢাকা থেকে আসেন ব্যাপারী এবং হাজার হাজার মণ বেগুন, শশাসহ কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজি কিনে নিয়ে যান ঢাকার পাইকারি মোকামে।
কুষ্টিয়ার পাইকারি বাজারে বেগুন প্রকার ভেদে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সেই বেগুন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। ৪০ টাকার কাঁচামরিচ ৭০ টাকায়, ১০ টাকার কচু ২০ টাকায়, ৫ টাকার পেঁপে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২২ টাকায়, পিয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় আবার কিছু কিছু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, রসুন কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, মুলা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতারা ওই সব কাঁচা সবজি কিনতে গিয়ে দিশেহারা।
তবে এক ক্রেতারা বলছেন মাঠ থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত সঠিকভাবে মনিটরিং না করার কারণেই বাজারের এই অস্থিরতা। বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবী করেন তারা।
এদিকে, বিত্তিপাড়া বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রাজ্জাক মন্ডল জানান, সবজির বাজার এখন নিন্মমুখি। তবে সবজির বাজার উঠা-নামা করে বলেও তিনি জানান। কুষ্টিয়া মিউনিসিপ্যালিটি বাজারের সবজি আড়ৎদার বাবু জানান, কাঁচামালের বাজার প্রতিদিন এক থাকে না। এছাড়া চাহিদা ও সরবরাহের উপর সবজির মত কাঁচামালের দাম নির্ভর করে।
কুষ্টিয়ার খুচরা সবজি বিক্রেতা বশির বলছেন, আমরা ব্যাপারি এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে সবজি কিনি সেই দাম অনুযায়ী বিক্রি করি। দাম বাড়ানোর কারসাজি ব্যাপারি, আড়তদার এবং পাইকারি ব্যাপারিরা করে থাকেন। এদিকে কুষ্টিয়া জেলা সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেছেন, কৃষি পণ্য উৎপাদিত কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত বিক্রয়ের মাঝে যে মূল্যের ফাঁক রয়েছে তা আগের থেকে অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। মূলত ব্যাপারি, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা এই সুযোগ নিয়ে থাকে। তবে আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব দ্রুতই যেটুকু সমস্যা আছে তা সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।