স্বপ্নে দেখা নম্বর মিলিয়ে লটারির টিকিট কিনে রাতারাতি কোটিপতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২রা জুলাই ২০২২ ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
স্বপ্নে দেখা নম্বর মিলিয়ে লটারির টিকিট কিনে রাতারাতি কোটিপতি!

গুপি-বাঘার গল্পটা আপনাদের মনে আছে? স্বয়ং ভূতের রাজা এসে তো রাতারাতি তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছিলেন। বাস্তবে সেই ভূতের রাজা না এলেও, স্বপ্ন দেখে জীবনে বড় পরিবর্তন কিন্তু হতেই পারে। আজ আপনাদের শোনাব এমনই এক অবাক করা কাণ্ড। স্বপ্ন দেখেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।


লটারি জিতে রাতারাতি ধনী হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। মাত্র কয়েকটা টাকার একটি লটারির টিকিট অনায়াসেই বদলে দিতে পারে যে কারোর জীবন। অনেক সিনেমাতেও উঠে এসেছে এরকম স্বপ্নপূররণের কাহিনি। কিন্তু যে ঘটনার কথা এখন শোনাব, এমন ঘটনা বোধহয় সত্যিই বিরল। স্বপ্নে দেখা নম্বর মিলিয়ে লটারি কিনে প্রায় ২ কোটি টাকা জিতেছেন এক ব্যক্তি। নাহ্‌, অবাক হবেন না, মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা আলোঞ্জো কোলম্যানের সঙ্গে ঘটেছে ঠিক এমনটাই।


লটারির টিকিট কেনা নেশা কোলম্যানের। বড় কোনও পুরস্কার অবশ্য এর আগে জেতেননি। তবু, স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। আর সেই স্বপ্নই একদিন বদলে দিল তাঁর ভাগ্য। কিছুদিন আগে নাকি লটারির টিকিট কেনার স্বপ্ন দেখেছিলেন কোলম্যান। কোন নম্বরের টিকিট কিনেছিলেন, সেটাও তাঁর বেশ মনে ছিল। স্বপ্নের শেষটা হয়েছিল সুমধুর। কোলম্যান স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, ওই নম্বরের টিকিটে তিনি লটারি জিতেওছিলেন। স্বপ্ন তো একটা সময় স্বপ্নের নিয়মে ভেঙে গেল। কিন্তু মন ভাঙেনি কোলম্যানের। ভাবলেন, স্বপ্নটা বাস্তব হলে কেমন হয়! কিন্তু স্বপ্নে যা দেখা যায়, তাই কি আর বাস্তব হয়! তবু চেষ্টা করে দেখতে তো ক্ষতি নেই। যে নম্বরের টিকিট স্বপ্নে কিনেছিলেন, খুঁজেপেতে তেমনই একটা টিকিট তিনি কিনেও ফেললেন। ভার্জিনিয়ার একটি লটারি সংস্থা প্রতি সপ্তাহেই আয়োজন করে এক লটারি প্রতিযোগিতার। সেখান থেকেই টিকিট কিনে অপেক্ষা করছিলেন ফলাফলের। আর তারপরই চমক! স্বপ্ন যেন হল সত্যি! সত্যিই লটারি জিতেছেন তিনি। মাত্র ২ ডলার খরচ করে কেনা সেই টিকিটেই জিতলেন আড়াই লক্ষ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে, মাত্র ১৫০ টাকার টিকিট কিনে জিতেছেন প্রায় ২ কোটি টাকা।


নিজের লটারি জেতার খবর জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোলম্যান লিখেছেন, এমন অদ্ভুত ব্যাপার তিনি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না। মাত্র একটি ডিজিটের জন্য প্রথম পুরস্কার হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। যদিও সে তা নিয়ে আফশোস নেই! বরং স্বপ্ন আর বাস্তবের এই অদ্ভুতভাবে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়াকেই জীবনের সেরা পুরস্কার ভাবছেন অবসারপ্রাপ্ত এই বৃদ্ধ।