রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে আরও ৮৩ জনকে। এ নিয়ে বর্তমানে ২১০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়াও এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সন্দেহে এলাকায় উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।সর্দি-জ্বর নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই নারীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে।অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গত রবিবার রাতে রামেক হাসপাতালের নিবিড়ি পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। তবে তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা তার পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এজন্য তাকে আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়নি। তাছাড়া আইসোলেশন ইউনিটে আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এই রোগীকে নিয়ে চিকিৎসকেরা উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই নারীর বয়স ৪৬ বছর। তিনি গত শুক্রবার সর্দি-জ্বর নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। গত রবিবার বিকালে তার জ্বর ১০৩ ডিগ্রিতে উঠে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে রাতে তাকে হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়া হয়।আইসিইউ ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, এই রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন না। তিনি ভাইরাস বহনকারী কারও সংস্পর্শে গেছেন কিনা তা তার স্বজনেরা বলতে পারছেন না। তবে পরীক্ষা না করা পর্যন্ত তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। এই অনিশ্চয়তা নিয়ে তারা একটু শঙ্কায় আছেন। তাই এই ইউনিটে দায়িত্বরত সবার সুরক্ষা পোশাকের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউশন-আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পরীক্ষার জন্য তাদের আসতে বলা হয়েছে। তারা আসতে চেয়েছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে, ঢাকা থেকে তারা আসতে পারবেন কি না।জানতে চাইলে হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার মতো কিছু নেই। তারা চেষ্টা করছেন এখান থেকে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো যায় কিনা। তবে তিনি বলেন, এই রোগীর সেরকম কোনো ‘হিস্ট্রি’ নেই যে বিদেশফেরত বা ভাইরাসবহনকারী কারও সংস্পর্শ্বে গেছেন কিনা। তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা পরীক্ষার চেষ্টা করছেন।
এদিকে শিক্ষানগরী রাজশাহীর মেসগুলো এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা শিশু পার্কসহ সব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সোমবার থেকে করোনা প্রতিরোধে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজশাহী মহানগর এলাকা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব পশুহাটসহ অন্যান্য হাটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।এদিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে গত বুধবার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের একটি তালিকা রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, জেলায় এক হাজার ৩১৩ জন বিদেশফেরত রাজশাহী গেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।