অভিমানে আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মুনরো

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ১০ই মে ২০২৪ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
অভিমানে আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মুনরো

টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা সময়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন কলিন মুনরো। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে বিশ্বকাপের দলে জায়গায় না পাওয়ায় স্থায়ী ভাবে আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মুনরো।এক বিবৃতিতে মুনরোর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি।


২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর তিনি টেস্ট খেলেছেন মাত্র একটি। মূলত সাদা বলেই এক সময় ছিলেন অপরিহার্য। ৪৭ ওয়ানডেতে ২৪.৯২ গড় ও ১০৪.৬৯ স্ট্রাইকরেটে করেন ১২৭১ রান।তবে টি-টোয়েন্টি তার পারফরম্যান্স দারুণ। ৬৫ টি-টোয়েন্টিতে ৩১.৩৪ গড় আর ১৫৬.৪৪ স্ট্রাইকরেট রেখে করেন ১ হাজার ৭২৪ রান। আছে তিনটা সেঞ্চুরি।


অবসরের ঘোষণায় মুনরো বলেন, ব্ল্যাকক্যাপস জার্সিতে খেলা আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। এই জার্সির চেয়ে অন্য কিছুতে আর এত গর্ব অনুভব করি না। ১২৩ বার সব সংস্করণ মিলিয়ে এই জার্সি গায়ে চাপাতে পেরেছি। যেটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য।অবসর বার্তায় ইঙ্গিত দেন কিছুটা আশা থেকে যাওয়ায় ঘোষণা দিচ্ছিলেন না এতদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ড দলে নিজের নাম না দেখে বুঝে ফেলেন ভবিতব্য।


তিনি বলেন, আমি হাল ছাড়িনি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে গেছি। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর বুঝে গেছি আমার চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বোঝায় যায়, অনেকটা অভিমান করেই আন্তজার্তিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন মুনরো।


এই ক্রিকেটারের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটও। প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিক বিবৃতিতে বলেন, কলিন প্রথম কয়েকজন আগ্রাসী ব্যাটারের একজন ছিলেন, যে কিনা ৩৬০ ডিগ্রি ঘরানায় খেলতে পারত। খেলাটা এগিয়ে নেওয়ার একজন সে। নিউজিল্যান্ডকে শতাধিক ম্যাচে অবদান রাখায় তাকে ধন্যবাদ। তার উজ্জ্বল আগামী প্রত্যাশা করছি।


সবশেষ ২০২০ সালে ঘরের মাঠে কিউইদের জার্সিতে খেলেছিলেন মুনরো। ইন্ডিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। এই ইনিংস দিয়ে আন্তজার্তিক ক্যারিয়ারের ইতিটানলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার।