প্রতি নারী ৩০ হাজারে বিক্রি করতো চক্রটি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা জুন ২০২১ ০১:৪৭ অপরাহ্ন
প্রতি নারী ৩০ হাজারে বিক্রি করতো চক্রটি!

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে কয়েকজন যুবকের যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম রাফি ওরফে বস রাফিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।


র‍্যাব জানিয়েছে এই চক্রটি প্রতিজন মাত্র ৩০ হাজার টাকা করে পাঁচ শতাধিক নারীকে বিদেশে বিক্রি করেছে ।


গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান।



তিনি বলেন, নারীদের জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন ও মাদক সেবন করানো হতো। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে বিদেশে পাচার করতো এ চক্রটি। টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে তারা সহজেই নারীদের আকর্ষণ করতো এবং বিভিন্ন দেশে তাদেরকে পাচার করত।


র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এসব নারীদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বাংলো ও বিদেশের মাটিতে যৌন নির্যাতন চালানো হতো এবং সেগুলো ভিডিও ধারণ করা হতো। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে জিম্মি করা হয় এবং তাদেরকে বিদেশে যেতে বাধ্য করা হয়।


তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম রাফি ও তার সহযোগী ম্যাডাম সাহিদাসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।


আশরাফুল ইসলাম রাফি (ভারতে রাফি নামে পরিচিত) তার হাত ধরে অনেক নারী ভারতে পাচার হয়েছে। টিকটকে মডেল হওয়ার কাজে ভারতে যাওয়ার প্রলোভন দেখালেও তাদেরকে ভারতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক মাদক সেবন করিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করানো হতো।


মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা প্রথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। এ চক্রটি ভিকটিমদের বৈধ ও অবৈধ উভয়ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করাতো এবং তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে সীমান্ত এলাকার সেফ হাউজে রাখতো এরপর সেখান থেকে অন্যদেশে পাঠানো হতো।


তিনি আরও বলেন, র‌্যাবের তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের চক্রদের গ্রেফতারের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং নিয়মিত কাজ করে যাব।

#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১