প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ২১:০
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবারও আনা হলো বড় ধরনের প্রশাসনিক রদবদল। এবার অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার পদমর্যাদার ৫৮ কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনবিআরের কর প্রশাসন-১ শাখার প্রথম সচিব মোসাদ্দেক হুসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার বদলির এই আদেশ জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বদলিকৃত কর্মকর্তারা পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নির্ধারিত নতুন কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই বদলির আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। অনেক কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পদোন্নতির সুযোগও দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রশাসনে নতুন উদ্যম আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংস্থার বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এই রদবদল করা হয়েছে। এটি কেবল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন নয়, বরং রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার কৌশলের অংশ।
এর আগে গত সোমবার এনবিআরের নয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টানা দুটি বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে রাজস্ব বোর্ড তার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নিয়মিত বদলি ও পদায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন একই জায়গায় অবস্থান করছিলেন তাদের প্রভাবও কমে আসবে। ফলে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
কর প্রশাসনের অভ্যন্তরে নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিন ধরে চলে আসছে। এই বদলিকে অনেকে সেই অসঙ্গতি দূর করার একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে বদলির পাশাপাশি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।
সব মিলিয়ে এনবিআরের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এর ফলে কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।