স্বাস্থ্যসেবার মান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি, ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:৫০ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসেবার মান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি, ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মান অনুযায়ী ক্যাটাগরি তৈরি করে ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।


তিনি বলেন, দেশের একেক বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য সেবা খাতের একেক রকমের চার্জ, টেস্ট ফি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারিভাবে একটি গাইডলাইন তৈরি করে হাসপাতালগুলোর মান অনুযায়ী ক্যাটাগরি তৈরি করে দিয়ে সেই ক্যাটাগরি মান অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।


আজ রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্যাটাগরি নির্ধারণ বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


জাহিদ মালেক বলেন, ‘ক্যাটাগরি তৈরি সংক্রান্ত একটি কমিটি করে এক মাসের মধ্যেই আমরা একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হব। এতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে, যত্রতত্র ফি দিয়ে দেশের জনগণের অযাচিত অর্থ ব্যয় হবে না।’


বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ক্যাটাগরি নির্ধারণের ধরন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান, লোকবল, সুযোগ-সুবিধা ভেদে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ, ই, ঈ, উ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেওয়া হবে।



তিনি বলেন, ‘এ’ ক্যাটাগরির একরকম সুবিধা, ‘বি’ ক্যাটাগরির একরকম সুবিধা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি হাসপাতালগুলো মান ভেদে এবং সুযোগ-সুবিধা উল্লেখসহ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে কোন হাসপাতালে গেলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে এবং চিকিৎসা বাবদ কত টাকা ব্যয় হবে।


বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সেবার মান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশে বর্তমানে অলিগলিতে ক্লিনিক হয়ে গেছে। কিছু ক্লিনিক মানসম্মত সেবা দিলেও অধিকাংশেরই সেবার মান ভালো না। ‘ফি’-ও নেওয়া হয় ইচ্ছেমতো। স্ট্যান্ডার্ড ও নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্রপাতি নাই, কিন্তু মেশিন আছে, সেগুলোও ঠিকমতো কাজ করে না। সিট অনুযায়ী অন্য বিষয়গুলো অনুপস্থিত রয়েছে। মানসম্পন্ন চিকিৎসক থাকে না, অথচ ফি নেওয়া হয় অনেক বেশি। এসব অনিয়ম আর চলতে পারবে না।”


সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, মহাসচিব ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।