পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। উপজেলার হাট- বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে কৃষকের মাঠ পর্যন্ত সর্বত্র আলোচনায় মূখরিত তিনটি পদে প্রার্থী হচ্ছেন কে কে?, প্রার্থীদের গ্রহনযোগ্যতা ও জয়-পরাজয়ের সমীকরন করছেন ভোটাররা। নিজের প্রার্থীতা জানান দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্টার ও ছবি পোষ্ট করে দোয়া চাইছেন প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। “দোয়া ও সমর্থন কামনা” করে ইতোমধ্যে দু-চার জন প্রার্থীর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে শহর-গ্রামের হাট-বাজারের সর্বত্র। এছাড়া শহর-গ্রামের হাট-বাজার, দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠান ও কুলখানি অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের সাথে করমর্দন ও আলিঙ্গন করে দোয়া চাইছেন। বিগত নির্বাচন গুলোতে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীর চেয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিটি পদে প্রার্থীদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় সরব হচ্ছেন ভোটাররা। ভোটাররা মনে করছেন এবারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন।
এদিকে এবারের স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলগের দলীয় প্রতীক ও সমর্থন না থাকায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থন পেতে লবিং, তদবীর শুরু করেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের কোন বাঁধা নেই তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় যুক্ত হতে।
জানা যায়, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন - পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান খাঁন মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী, বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আশ্রাফ আলী হাওলাদার ও ঢাকাস্থ পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস ছালাম খাঁন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন - উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম (লোটাস সিকদার), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম (সোহাগ মৃধা), উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম (রুমান), উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তারুল আলম (জাষ্টিচ মৃধা),এস এম রাসেল মোল্লা ও আলহাজ্ব মোঃ দুলাল ফকির, গাজী মোঃ ওমর ফারুক শাওন ও আমেরিকা প্রবাসী মোঃ নুরুজ্জামান।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রাথর্ী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন - বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাচিনা হাবিব, উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আয়শা সিদ্দিকা ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবা মোর্শেদা (রানু)।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১লক্ষ ১২ হাজার ৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৬ হাজার ৯শত ৬৮জন এবং মহিলা ভোটার ৫৫ হাজার ৭১ জন। এ উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গের কোন ভোটার নাই। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি এপ্রিল মাসের ১৭ এপ্রিল নিবার্চন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী ৪র্থ ধাপে আগামী মে মাসের ২৯ তারিখে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ২ মে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।