ত্রিভুজ প্রেমের কারনেই নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে দুই পা-হাতের রগ কেটে ও কুপিয়ে জুয়েল আলী (২৭) কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। শুক্রবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জুয়েল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার বলেন,‘ লালপুর উপজেলার দিলালপুর গ্রামে গত ৪ মার্চ হাত-পায়ের রগ কাটা ও কুপিয়ে জখম করা জুয়েল নামের এক যুবকের মরদেহ মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে আলামত হিসেবে পাওয়া মোবাইলের ট্রেকিং করে প্রেমিকা সেলিনাকে আটক করে পুলিশ। সেলিনার দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে তার আরেক প্রেমিক মেহেদী হাসান লিটন ও সৎ ছেলে মেহেদী হাসান পরিকল্পিতভাবে মোবাইলে জুয়েলকে ডেকে নেয়।
পরে জুয়েলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মাথায় আঘাত করেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী মাঠের মধ্যে জুয়েলকে ফেলে রেখে যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে।’এসময় বড়াইগ্রাম সার্কেল ও ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।