মহাকাশে গিয়ে প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২৫শে আগস্ট ২০১৯ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
মহাকাশে গিয়ে প্রতারণা

মহাকাশে ঘটে গেলো এক আজব কাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে, একজন নভোচারী মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে তার এক সাবেক জীবনসঙ্গীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন। আর এমন এক অপরাধের তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এমন কাজটি করেছেন মহাকাশচারী অ্যানি ম্যাক্লেইন। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে ওই অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তার দাবি, এর মাধ্যমে তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী ওর্ডেন টের পান যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে নাসার নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার থেকে অনুমতি ছাড়াই অনুপ্রবেশ করা হয়েছে। তখন তার সন্দেহের তীর যায় এই নারী নভোচারীর দিকে, যখন ম্যাকক্লেইন আইএসএস-এ যাচ্ছেন। অনুসন্ধানের মাত্রা আরও বাড়িয়ে নিশ্চিত হয়েই ম্যাকক্লেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওর্ডেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে ওর্ডেন জানিয়েছেন ইউএসএএ ব্যাংক তাকে এ অভিযোগের সত্যতাস্বরূপ সব প্রমাণ হস্তান্তর করেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং নাসার মহাপরিদর্শকের কাছে অভিযোগ করেছেন। প্রসঙ্গত, মহাকাশচারী ম্যাক্লেইন এবং মার্কিন বিমানবাহিনী গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওয়ার্ডেন সমকামী দম্পতি ছিলেন। এ দুই নারী ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওয়ার্ডেন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন। এরপর তারা আলাদা হয়ে যান। ম্যাক্লেইন মার্কিন সামরিক অ্যাকাডেমি ওয়েস্ট পয়েন্টের গ্র্যাজুয়েট। পাস করার পর সেনাবাহিনীর পাইলট হিসেবে তিনি ইরাকে ৮০০ ঘণ্টা যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি টেস্ট পাইলট হন এবং ২০১৩ সালে তিনি নাসার পাইলট পদের জন্য নির্বাচিত হন। তিনি ছয় মাস আইএসএসে অবস্থান করেন।

এদিকে ম্যাক্লেইনের আইনজীবী বলেছেন, তিনি (ম্যাক্লেইন) মহাকাশ থেকে ওয়ার্ডেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেখতে চেয়েছেন যে সেখানে সংসার এবং তাদের সন্তানের পেছনে খরচের জন্য যথেষ্ট টাকা-পয়সা রয়েছে কিনা। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মালিকানা পাঁচটি দেশ। তারা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং কানাডা। মহাশূন্যে যে কোনো মহাকাশচারী এবং যন্ত্রপাতির ওপর এই দেশগুলোর নিজস্ব আইন কার্যকর হয়। মহাকাশ থেকে অপরাধী প্রত্যর্পণের বিধানও রয়েছে এই আইনে। এমনকি অপর কোনো দেশের নাগরিক মহাশূন্যে অপরাধ করলে দ্বিতীয় কোনো দেশ তাকে ফেরত চাইতে পারবে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর