প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সামরিক অবকাঠামোতে হামলার আটটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলাগুলি ২০২৩ সালের মে মাসে ইমরানের সমর্থকরা সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর পর দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আদেশ দেন। লাহোর হাইকোর্ট আগের আদেশে তাকে জামিন না দেওয়ায় ইমরান হাইকোর্টের দারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যদি অন্য কোনো মামলা বা আটকাদেশ না থাকে, তাহলে তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
যদিও জামিন মঞ্জুর হয়েছে, ইমরান এখনো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত থাকায় তৎক্ষণাৎ মুক্তি পাচ্ছেন না। পিটিআই মিডিয়াকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, আল-কাদির মামলায়ও জামিন প্রয়োজন যাতে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যায়।
ইমরান খান ২০২২ সালের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান এবং শেহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অনেক নেতাও এমন মামলায় জর্জরিত হয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরানকে স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সমর্থকরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে এবং রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর ও হামলা চালায়।
সেনাবাহিনী অভিযোগ করে, গ্রেপ্তারের পর ইমরানের সমর্থকরা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এবং ভাঙচুর চালিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করেছে। এই ঘটনায় মামলাগুলি দায়ের করা হয়।
পাকিস্তানি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের জামিন ইমরানের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নতুনভাবে শক্তিশালী করতে পারে। তবে দুর্নীতির মামলার কারণে তিনি এখনো সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাচ্ছেন না।
এই মামলাগুলোর পটভূমিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও দলের সমর্থক-প্রতিবাদও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের জামিন দেশটির রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করছে।