প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২
বিগত কয়েক দশকের মধ্যে নেপাল সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয়েছে। জেন-জি জোয়ারে ভেসে গেছে পিকে শর্মা অলির সরকার। পদত্যাগপত্র লিখে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে; গণপিটুনির শিকার হয়েছেন অর্থমন্ত্রী, আর অন্যান্য মন্ত্রীরা গা ঢেকে রেখেছেন।
নেপালের এই অরাজক পরিস্থিতি দেশটির জনগণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনমনে আতঙ্ক এবং প্রশাসনের অসহায়তা প্রকাশ পাচ্ছে। আন্দোলনকারীরা স্বৈরাচারী শাসন, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রউত মন্তব্য করেছেন, নেপালের অস্থিরতার স্ফুলিঙ্গ যদি ভারতের দিকে আসে, তাহলে দেশের জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে ভারত এখনও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, কারণ দেশ মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা নীতি মেনে চলছে। তাঁর আদর্শই ভারতের সরকারের টিকে থাকার মূল কারণ।
রউত আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। এটি প্রমাণ করে দেশে এখনও গরিব মানুষ রয়েছে। নেপালের পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে রউত মনে করান, দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে এবং রাজনীতিবিদদের সন্তানরা বিদেশে অবস্থান করছে।
তিনি নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককেও উল্লেখ করেন। নেপাল একসময় ভারতকে বড় ভাই মনে করত, কিন্তু সংকটকালে ভারত পাশে দাঁড়ায়নি। রউত এটিকে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি নেপালের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে বলেছেন, স্বৈরাচারী শাসন ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক নেতারা সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছ প্রশাসন এবং জনগণের বিশ্বাস বজায় রাখা জরুরি।
সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তবে রউত আশ্বাস দেন যে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং গান্ধীর আদর্শ দেশকে স্থিতিশীল রাখছে। ভারতের অভিজ্ঞতা নেপালের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
অতএব, নেপালের অস্থিরতা এবং ভারতের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টি উঠে এসেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনগণের নিরাপত্তা এবং শাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।