বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় ১২ আসামীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২রা সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:০৬ অপরাহ্ন
বরিশালে ইউএনও-পুলিশের মামলায় ১২ আসামীর জামিন

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।


অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতয়ালী থানার জেনারেল রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ৯ আসামির জামিন হয়। এনিয়ে ইউএনও ও পুলিশের দায়েরকৃত পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতারকৃত ২১ আসামির জামিন আবেদনই মঞ্জুর হলো।



জিআরও এসআই খোকন চন্দ্র দাস জানান, দুই মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামির জামিন চেয়ে গত ২৯ আগস্ট আবেদন করা হয়। তখন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. আনিচুর রহমান। তিনি জামিন আবেদন গ্রহণ করে ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) শুনানি শেষে আবেদন করা ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়।


যারা জামিন পেলেন তারা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, রূপাতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু, লিটন ঘোষ, মোঃ রাকিব, শুভ হাওলাদার, শাহিনুল ইসলাম শাহিন, শুভ ঘোষ, মোঃ অলিউল্লাহ, মিরাজ গাজী ও হারুন অর রশিদ।


আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস জানান, গত ২৫ আগস্ট দুই মামলায় গ্রেফতার ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) বাকী ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত।


প্রসঙ্গত: বরিশাল সদর উপজেলা কম্পাউন্ডে গত ১৮ আগস্ট শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-আনসার ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ-আনসারসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন তিন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট কোতয়ালী থানার এসআই শাহজালাল ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ ৬০৩জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।