প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৫
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
রোববার এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ধানমন্ডি থানার ওসি থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে যে, আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করার পেছনে আইনগত ভিত্তি কি। পুলিশ কর্মকর্তার কার্যক্রম এবং পদক্ষেপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদারকি করছে।
এছাড়া, দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি যাচাই করার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা অনুযায়ী অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মামলার প্রকৃত পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তের অংশগ্রহণের সঠিক তথ্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, আদালতের মাধ্যমে আজিজুর রহমান জামিন পেয়েছেন। তার জামিন প্রাপ্তি সামাজিক মাধ্যমে এবং স্থানীয় মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার জামিন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে বিভিন্ন মতামত জানাচ্ছেন, তবে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়া চলবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে, গ্রেফতারের পেছনে আইনগত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ হয়েছে কি না। পাশাপাশি কোনো প্রশাসনিক ভুল বা ব্যর্থতা থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রতি নজর রাখছেন এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। তারা আশা করছেন, সকল তদারকি এবং তদন্ত কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে।
এই ঘটনা পুলিশের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, তদন্ত প্রক্রিয়ার মান এবং সাধারণ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করার দিক থেকে নজরকাড়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের খতিয়ানিতে নিশ্চিত করা হবে যে, আইন অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তদন্তের ফলাফলের উপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।