যৌনতা এমনই একটা জিনিস যা নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন রকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। একেকজন একেক রকমভাবে যৌনতাকে উপভোগ করে। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত শরীর যখন বিশ্রাম করে তখনই যৌনতাকে উপভোগ করেন কাপলরা। এই সময়েই যৌন চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় গেছে, বর্ষাকালেই যৌন চাহিদা দ্বিগুন কমে যায়। কারণ মেঘলা দিনেই নাকি অবসাদ গ্রাস করে নারীকে। আর সেই কারণেই সঙ্গীনিকে চরম তৃপ্তি দেওয়ার পরিবর্তে সম্পর্ক ক্রমশ ফিকে হতে থাকে। কিন্তু কেন এমনটা হয়, জানলে চমকে যাবেন।
গরমকাল হোক আর বর্ষা ঘরবন্দি দশায় প্রত্যেকেই অনেক বেশি যৌন মিলনে মেতে উঠেছেন। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে, মেঘলা দিনে ম্যাজম্যাজে মেজাজ থাকে বেশিরভাগ মেয়েদের ।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ২২ শতাংশ মহিলার মন চনমনে থাকে। সেখানে মেঘলা দিনে ১৪ শতাংশের কম মহিলার মুড ঠিক থাকে না।
তবে শুধু মহিলারাই নন, পুরুষদের শরীরেরও এর প্রভাব পড়ে। কারণ মেঘলা দিনে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়।
আর সেই কারণের জন্যই বর্ষাকালে নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন উত্তেজনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। যার ফলে কামশক্তি কমে আসে।
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার অর্থাৎ বছরের নিদির্ষ্ট কিছু ঋতুতে অবসাদ মনকে গ্রাস করে। আর সেই ঋতুর তালিকায় রয়েছে বর্ষাকাল।
কম আলোয় মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিনের ক্ষরণ কমে, যার ফলে যৌন উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এবং সেই কারণেই যৌন মিলনও শিথিল হতে থাকে।
অপর দিকে সেরোটোনিনের ক্ষরণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ ও নারীর কামশক্তিও বেড়ে যায়।
বাড়িতে একটানা থাকতে থাকতে অনেকেই মানসিক চাপ, অবসাদে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যৌন মিলন করলে শরীর ও মন ভাল হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।